নোটিশ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। কেন্দ্রীয় কার্য্যনির্বাহী পরিষদের বাৎসরিক সভা অদ্য ১৬/১১/২০২৩ইং রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ ঘটিকায় “ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস অফ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন” এর কেন্দ্রীয় কার্য্যালয় – ২২৭/১, সেলিমপ্লাজা, ৪র্থ তলা, ফকিরাপুল বাজার রোড, মতিঝিল, ঢাকা – ১০০০ বাৎসরিক সভার আয়োজন করা হয় (দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বৎসর বড় পরিসরে বাৎসরিক সভার আয়োজন করা সম্ভব হয় নাই)। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন অত্র সংস্থার চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জি এম কেরামত আলী সাহেব। সভা সঞ্চালনা করেন মোঃ সুরুজ্জামান – সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি। উপস্থিত ছিলেন মোঃ নিজাম উদ্দিন মীর – কো-চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় কমিটি। এ এস এম হোসাইন নুরজামান – মহাসচিব কেন্দ্রীয় কমিটি। এ্যাডঃ কানিজ ফাহিমা নাসরিন – ভাইস চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় কমিটি। এ্যাডঃ জাফর খাঁন – যুগ্নসচিব কেন্দ্রীয় কমিটি। মোঃ ইদ্রিস – দপ্তর সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি। মোঃ জামাল উদ্দিন শাহ – প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি। এম এম তোহা – কার্য্যকারী সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি। এছাড়া ও বিভিন্ন জেলা, মহানগর, উপজেলা/থানা কমিটির চেয়ারম্যান ও সচিবগন উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সভার আলোচ্য বিষয় (এজেন্ডা) ঃ- ১। আগামী ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ইং ৭৫ তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উৎযাপনের উদ্দেশ্যে সকল বিভাগ, জেলা, মহানগর, উপজেলা/থানা ও ওয়ার্ড কমিটির সমন্বয়ে দিবসটি উৎযাপনের আলোচনা করা হয়। ২। সল্পখরচে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উৎযাপন করিবেন। অতিরিক্ত অর্থ ব্যায় না করে আপনাদের সামর্থানুযায়ী নিজ নিজ এলাকায় গরিব ও অসহায় শীতার্থ মানুষের মাঝে কিছু শীতবস্ত্র বিতরণের অনুরোধ রইলো। ৩। যে সকল কমিটি এখনো পূর্নাঙ্গ করা হয়নি, নিজ নিজ দায়িত্বে উক্ত অসমাপ্ত কমিটিগুলো আগামী ৩০ জানুয়ারী ২০২৪ইং তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে কেন্দ্রীয় কার্য্যালয়ে জমা দেওয়ার অনুরোধ রইলো। ৪। অত্র সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সকল বিভাগ, জেলা, মহানগর, উপজেলা/থানা ও ওয়ার্ড কমিটির যে সকল নেতাগন আপনি আপনার দায়িত্বশীল পদে থেকেও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। দায়িত্বে অবহেলার কারণে আপনি পদবঞ্চিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটি আপনার কার্য্যক্রম সদা নিবিড় পর্য্যবেক্ষন করছে। পরিশেষে আপনাদের সকলের সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর মঙ্গল কামনা করে সভার সভাপতি সাহেব সভা মুলতবি ঘোষনা করেন। উক্ত সভার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দ একমত পোষণ করেন।
১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস এর এইবারের প্রতিপাদ্য

১০ ডিসেম্বর, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য, ‘বৈষম্য ঘোচাও, সাম্য বাড়াও মানবাধিকারের সুরক্ষা দাও’।
১৯৫০ সালে এই দিনটিকে জাতিসংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়।
সেই থেকে বিশ্বজুড়ে এ দিনটি পালিত হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারিভাবে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট পৃথক বাণী দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন,
আমরা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে পূর্বের বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলাম।
১৯৯৮ সালে এ সংক্রান্ত একটি কমিশন গঠনের জন্য খসড়া আইন প্রস্তুত করেছিলাম।
পরবর্তীতে ২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন করি এবং সে অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করি।
সরকার ইতোমধ্যে কমিশনকে শক্তিশালী করতে কমিশনের জনবল ও বাজেট বরাদ্দ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে।
মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে কমিশনকে আধুনিকায়ন করা ও কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্ষমতা এবং সুযোগ সুবিধা বাড়ানোসহ সকল ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ কমিশন দেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মানবাধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্য সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে।
আমরা মিয়ানমারে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি।
রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তাসহ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে বিশ্ব স¤প্রদায়কে সস্পৃক্ত করে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বাণীতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও শেখ মূজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদ্যাপনে ‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ’
শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজন ও প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মানবাধিকার বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করায় কমিশনকেও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া মানবাধিকার সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা,
উন্নয়ন সহযোগী, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো কার্যকর ভ‚মিকা রাখার আহবান জানান তিনি।

পৃথক এক বাণীতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘মানবাধিকার দিবস ২০২১’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমতার সমাজ গঠনের এখনই সময়। এ প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘বৈষম্য ঘোচাও সাম্য বাড়াও মানবাধিকারের সুরক্ষা দাও’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।